পটুয়াখালী শহরে দিন দিন কমছে জলাভূমির পরিমাণ। কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পুকুর ও দিঘি ভরাট করা হচ্ছে। উন্নয়নের অজুহাতে জলাশয়গুলোতে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
টিকে থাকা জলাভূমির অবস্থাও ভালো নয়। এগুলো ব্যবহার হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড় হিসেবে। জলাশয়গুলো জরুরিভিত্তিতে খনন ও পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময় পটুয়াখালী শহরে শতাধিক পুকুর, দিঘি থাকলেও এর বেশিরভাগেরই এখন অস্তিত্ব নেই। শহরের ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুরের পাশাপাশি সরকারি পুকুরগুলো ভরাট করা হয়েছে। যেসব জলাধার এখনো টিকে আছে সেগুলো ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশপাশে।
পটুয়াখালী শহরের টিবি ক্লিনিক রোডের বাসিন্দা তৌহিদুর রহমান। তিনি বলেন, এ এলাকায় মাত্র একটি জলাশয় রয়েছে। সেটিও ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের তালিকায় জলাশয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে এগুলো পরিষ্কার এবং খনন করা জরুরি। আমরা চাই পুকুর, দিঘিগুলো টিকে থাকুক।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ কামাল মেহেদী জানান, শহরে টিকে থাকা জলাশয়গুলো সংরক্ষণ করতে তারা সজাগ দৃষ্টি রাখছেন।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ বেশকিছু পুকুর এবং দিঘি চিহ্নিত করে সেগুলো সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ করেছেন। তবে শহরের সব পুকুর-দিঘির মালিকানা পৌরসভার নয়। এ কারণে অনেক পুকুর ভরাট হলেও কিছু করা যাচ্ছে না। তবে কিছু পুকুর এবং লেক সংরক্ষণ এবং দৃষ্টিনন্দন করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
নদী বন্দর / জিকে