গাইবান্ধার দুটি উপজেলার সাথে জেলা শহরের যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন একটি কাঠের সেতু। এই সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ১৭ ইউনিয়নের ১৫ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে রোগী বহনে। শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ বাঁশের সাঁকো পার হচ্ছেন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে।
গাইবান্ধা শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার উত্তরে ভেড়ামারা রেল সেতুর পাশের গ্রামের নাম কিসামত বালুয়া। এই গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে মরা ঘাঘট নদী।
দীর্ঘদিন ধরে এই নদীর উপর কোন সেতু না থাকায় দু’পাশের গ্রামবাসীর উদ্যোগে চাঁদা তুলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে রেলসেতুর পাশে একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়।
স্থানীয়রা জানালেন, এই ব্রিজটা না থাকার কারণে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। সঠিক সময়ে হাসপাতালে যেতে পারি না, বাজারঘাটেও যেতে পারি না। একটা ওষুধ আনতে হলে শহরে ঢুকতে হয়, এক কেজি চাল আনতে গেলে শহরে ঢুকতে হয়। ব্রিজ থাকায় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সাদুল্যাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এই সেতু। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সেতুটি ভেঙ্গে গেলে তৈরি করা হয় বাশেঁর সাঁকো।
সাঁকো দিয়ে ঝুকির্পূর্ণ চলাচল করতে হচ্ছে একলাকাবাসীকে।
এলাকাবাসী জানান, সেতু না থাকায় জরুরি মুহূর্তে রেলের ব্রিজ দিয়ে পার হতে হয়। হঠাৎ করে যদি গাড়ি এসে যায় তাহলে তো যে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
শিগগিরই নদীর উপর পাকা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাফিউল আলম বলেন, ইতিমধ্যে এলজিইডির মাধ্যমে এখানে ৮১ মিটারের একটি ব্রিজ বাস্তবায়নকল্পে টেন্ডারের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
ঘাঘট নদীর ওপর স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণের দাবি দুই উপজেলাবাসীর।
নদী বন্দর / এমকে