মজাদার শীতের পিঠা খেতে কার না ভলো লাগে। তবে সবার ভাগ্যে জোটে না পিঠার স্বাদ। বাবা-মা হারা সমাজের অবহেলিত এতিম শিশুদের বেলায় সে সুযোগ একেবারেই সীমিত। তবে সমাজসেবক অ্যাডভোকেট হামিদুল আলম নিউটনের সহায়তায় এবার সুস্বাদু নানা প্রকার পিঠার স্বাদ পেলো ৯৯ জন এতিম শিশু।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জে শিশু পরিবারের এতিম মেয়েদের জন্য আয়োজন করা হয় শীতের পিঠা উৎসব। উৎসবমুখর পরিবেশে সাজানো চেয়ার-টেবিলে বসে সহপাঠীদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা উপভোগ করে এতিম শিশুরা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বাবা-হারা সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুর মানসিক বিকাশে অবদান রাখবে ব্যাতিক্রমী এ আয়োজন।
কিশোরগঞ্জ সরকারি শিশু পরিবারে (বালিকা) গিয়ে দেখা যায়, লম্বা টেবিলে থরে থরে সাজানো বাহারি পিঠার থালা। ভাপা, পাটিসাপটা, দুধচিতই, কলার পিঠাসহ অন্তত ৮ প্রকারের শীতের পিঠা। দল বেঁধে লম্বা লাইনের চেয়ারে বসে মজাদার পিঠা খাচ্ছে শিশুরা।
শনিবার বিকেলে এমন পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন, সমাজসেবক অ্যাডভোকেট হামিদুল আলম নিউটন।
এতিম শিশুদের এমন উৎসবকে আরও আনন্দময় করতে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় বিশিষ্টজনদের। শরিক হন সমাজসেবা অধিপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান, জেলা উইমেন চেম্বারের সভাপতি নারীনেত্রী ফাতেমা জোহরা, সালমা ইসলাম, এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ কবীর, নারীনেত্রী তানিয়া ইসলাম, শাহীন সুলতানা ইতিসহ অন্যরা।
সমাজের অবহেলিত শিশুরা উৎসবের আনন্দে পিঠা খেতে পেরে আনন্দে আত্মহারা। শিশুরা জানায়, তাদের জন্য প্রতি বছর ইফতারসহ অন্যান্য উৎসবের আয়োজন করা হয়। তবে পিঠা উৎসবটি তাদের কাছে অনেক আনন্দের মনে হয়েছে।
সমাজসেবক হামিদুল আলম নিউটন জানান, নানা সীমাবদ্ধতার পরও সুযোগ পেলেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে তাদের যে আনন্দ দিতে পেরেছি সেটা বোঝানো যাবে না। এতিম শিশুদের বাড়তি আনন্দ দেওয়া এবং আত্মতৃপ্তির জন্যই এমন আয়োজন করতে পেরে আমি গর্বিত।
সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) উপ-তত্ত্বাবধায়ক তাসফিয়া তানজিম স্নিগ্ধা জানান, হামিদুল আলম নিউটনের অর্থায়নে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতিমখানার শিশুদের সহযোগিতায় গত কয়েকদিন ধরে চলে পিঠা তৈরির কাজ।
এটিকে একটি ভালো উদ্যোগ বলে মনে করেন জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। তিনি বলেন, এতিম শিশুদের মানসিক বিকাশে এমন আয়োজন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, এতিম শিশুদের জন্য ভালো কিছু করতে চেষ্টা করি সবসময়। সমাজের বিত্তবানরা তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এলে শিশুদের আনন্দের মাত্রা বাড়ানো সম্ভব হবে।
নদী বন্দর / পিকে