সরকারি ভাবে খোলা বাজারে কম দামে চাল বিক্রির প্রভাবে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে মোটা জাতের চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকার ভেদে প্রতিকেজি চালের দাম কেজিতে কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। তবে দাম কমলেও বাজারে বেচা-কেনা না থাকায় বিপাকে ব্যবসায়ীরা।
হিলিতে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়,চাল নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতা সমাগম তেমন একটা না থাকায় বসে বসে সময় কাটছে তাদের। এদিকে প্রতিকেজি মোটা জাতের চালের দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া স্বর্ণা-৫ জাতের চাল কেজিতে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৭ টাকা কেজি দরে।
অন্যদিকে গুটি স্বর্ণা (হাইব্রীড) জাতের চাল কেজিতে ৩ টাকা কমে ৩৬ টাকা কেজির চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকা কেজি দরে। চাল কিনতে আসা দুইজন ক্রেতা বলেন,হিলি বাজারে চাল কিনতে আসলাম। আগের থেকে চালের দাম একটু কমছে। কেজিতে ৩ টাকাও কমেছে অনেক চালে। এরকম চালের দাম কম থাকলে আমাদের জন্য উপকার।
হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা ডালিম বলেন,সরকার খোলা বাজারে কম দামে চাল বিক্রি করতিছে যে কারনে আমাদের হিলি বাজারে চালের বেচাকেনা কম। যেখানে আগে প্রতিদিন ৭ থেকে ১০ বস্তা চাল বিক্রি করতাম সেখানে বর্তমানে দুই বস্তা চাল বিক্রি করতে আমাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।
হিলি বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী বাবুল মন্ডল বলেন,সরকার খোলা বাজারে কম দামে চাল বিক্রির কারনে হিলি বাজারে সব চালের দাম কমেছে। চালের দাম কমলেও বাজারে ক্রেতা নেই। ৪০ টাকা কেজির চাল এখন ৩৬/৩৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে তাও ক্রেতা নেই। বেচা-কেনা অনেক কমেছে আমাদের।
নদী বন্দর / সিএফ