পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের সুরক্ষায় অনেক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জীবনের সর্বক্ষেত্রে নারীদের সমান সুযোগ দেওয়া হয়েছে। লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বিভিন্ন নীতি, আইন ও নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে।
সরকার জাতীয় বাজেট ব্যবস্থায় জেন্ডার বাজেট প্রবর্তন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এখন দেশের অনেক শীর্ষ পদে নারীরা অধিষ্ঠিত।
আইভরি কোস্টের ফার্স্ট লেডি ডমিনিক উত্তারার আয়োজনে আবিদজানে গত রাতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কনভেনশন টু কমব্যাট ডেজার্টফিকেশন (ইউএনসিসিডি)-এর ১৫ তম সম্মেলনের জেন্ডার ককাসের উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী একথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি নারীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং এর ফলে তাদের জীবন ও জীবিকা হারাতে হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের টেকসই খাদ্য নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং এর নারীদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি করছে। তা সত্ত্বেও, মহিলারা ভূমি ক্ষয় কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নারীরা বিভিন্ন উপায়ে ভূমি পুনরুদ্ধার, সুরক্ষা এবং উন্নতিতে অবদান রাখছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে যা দেশের ভূমি ক্ষয়ের গুরুতর সমস্যা প্রশমণে সাহায্য করবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বৈশ্বিক এজেন্ডাকে সমর্থন করবে। তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিশেষ করে মহিলাদের অবস্থার উন্নতির জন্য ইউএনসিসিডি সচিবালয় ও গ্লোবাল মেকানিজমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।
উল্লেখ্য, জেন্ডার ককাসে, আইভরি কোস্টের ফার্স্ট লেডি ডমিনিক উত্তারা এবং জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল আমিনা মোহাম্মদ পুরুষ ও মহিলাদের ওপর মরুকরণ, ভূমির অবক্ষয় এবং খরার বিভেদমূলক প্রভাবগুলির উপর একটি নতুন গবেষণা প্রকাশ করেছেন। ভূমি অবক্ষয়িত হলে নারী এবং মেয়েরা যে অসমান প্রভাবের সম্মুখীন হয় এবং সুযোগ দেওয়া হলে, কিভাবে তারা বিশ্বব্যাপী ভূমি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকতে পারে সে বিষয়ে গবেষণাটি আলোকপাত করেছে।
নদী বন্দর/আরএম