বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, টিআইবি এখন কথায় কথায় বিবৃতি দেয়। সম্প্রতি রেলের টিকিট ও টিটিই নিয়ে মধ্যরাতে একটা ঘটনা ঘটেছিল। এটার কোনো খোঁজ-খবর না নিয়েই সকাল বেলা টিআইবি বিবৃতি দিয়ে দিলো। এখন রিজভী আহমেদ আর টিআইবির মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না। কোনো কিছু ঘটার আগেই যেমন রিজভী আহমেদ বিবৃতি লিখে রাখেন তেমনি টিআইবিও কোনো কিছু হওয়ার আগেই বিবৃতি লিখে রাখে।
কুমিল্লায় এলডিপির মহাসচিব ও কুমিল্লা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. রেদওয়ান আহমেদ যে কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দলের কর্মীরা সেখানে জমায়েত হয়েছিল এবং তিনিও সেখানে গেছেন। তারপর একটি তরমুজ ছুঁড়ে মেরেছে। কিন্তু তার প্রতি উত্তরে তিনি গুলি ছুঁড়েছেন। এতে আমাদের দলের দুজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়, দুঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আর রেদওয়ান আহমেদের এই গুলি ছোঁড়ার পক্ষে সাফাই গেয়ে নানা ধরনের কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এখন খতিয়ে দেখা দরকার রেদওয়ান আহমেদ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাকি বিএনপির আরও কোনো শীর্ষ নেতার নির্দেশে গুলি ছুঁড়েছেন কি না। ঘটনাটি তদন্তাধীন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর আসল রহস্য নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে। যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডলসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রংপুর মহানগরের আওতাধীন কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন হাছান মাহমুদ।
নদী বন্দর/আরএম