মঙ্গলবার (১০ মে) ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ট্রাম্পের টুইটার ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, আমি তা উঠিয়ে নেব।
তিনি বলেন, টুইটার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত নয়। ট্রাম্পের টুইটার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাকে ‘নৈতিকভাবে বাজে সিদ্ধান্ত এবং প্রচণ্ড রকমের বোকামি’ বলে অভিহিত করেন মাস্ক।
মাস্ক বলেন, আমি মনে করি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা সঠিক ছিল না। এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ এটি দেশের একটি বৃহৎ অংশকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল।
গত বছরের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার কারণে টুইটার, ফেসবুকসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলো ট্রাম্পকে পোস্ট করতে বাধা দেয়। টুইটার সে সময় বলেছিল, ট্রাম্প নীতি লঙ্ঘন করেছেন এবং তার সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন। একই কারণে ফেসবুকও ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করে।
তিনি বলেন, টুইটারে পৃথক পোস্টগুলো লুকানো যায়, কেউ এখনও অস্থায়ীভাবে স্থগিত হতে পারেন ‘যদি তারা এমন কিছু করেন যা, বেআইনি বা এমন কোনো অন্যায় করেন, যা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক’।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কীভাবে পরিচালনা করবেন, তা এড়িয়ে গেছেন মাস্ক। কিন্তু তিনি বারবার প্ল্যাটফর্মে বাকস্বাধীনতা প্রসারিত করার জন্য তার অভিপ্রায়ের কথা বলেছেন। পাশাপাশি পরামর্শ দিয়েছেন, টুইটার গণতান্ত্রিক রাজনীতির দিকে ঝুঁকছে।
সম্প্রতি সব ধরনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বের সেরা ধনকুবের ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারের (৩৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো) বিনিময়ে কিনেছেন টুইটার। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি পুরোদস্তুর ব্যক্তিমালিকানায় চলে গেল। আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে মাস্ক টুইটারের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নদী বন্দর/এসএম