কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্রসৈকতে দাতা সংস্থা কোডেকের হ্যাচারিতে জন্ম নেওয়া ৩৫০টি কাছিমের বাচ্চাকে উপকূল এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১১ মে) দুপুরে টেকনাফের বাহারছড়া উত্তর শিলখালী সাগর পয়েন্টে কাছিমগুলোকে অবমুক্ত করা হয়।
শিলখালী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও প্রজনন প্রক্রিয়ার তদারকি করে আসছে দাতা সংস্থা কোডেকের নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্প। তাদের হ্যাচারিতে জন্ম নিয়েছে এসব কাছিমের বাচ্চা। তাদের কাছে আরও অন্তত দুই হাজার ডিম সংরক্ষিত আছে।
দীর্ঘদিন ধরে ইউএসআইডির আর্থিক সহায়তায় দাতা সংস্থা কোডেক তাদের নিজস্ব প্রকল্প নেচার অ্যান্ড লাইফের সরাসরি তত্ত্বাবধানে হ্যাচারিতে কাছিমের ডিম সংরক্ষণ করে আসছে। সেখানে জন্ম নিচ্ছে এসব বাচ্চা। পরে তা সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
কোডেক সূত্রে জানা যায়, নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের নৈশপ্রহরী নুরুল আমিন রাতে সমুদ্র চরে ঘুরে বেড়ান। সামুদ্রিক মা কাছিম যখন তীরে ডিম দিতে আসে, তখন তিনি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাছিমের ডিম সংগ্রহ করেন। এরপর এসব ডিম হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়। সেখানে জন্ম নিচ্ছে এসব বাচ্চা। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা বলেন, কাছিম ময়লা-আবর্জনা খেয়ে সমুদ্রকে পরিষ্কার রাখে। সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কোডেকের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।
এসময় কক্সবাজার জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা, শিলখালী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম, কোডেকের ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর নারায়ণ কান্তি দাশ, এনআরএম ম্যানেজার অসীম বড়ুয়া, ন্যাচার অ্যান্ড লাইফের সাইট কো-অর্ডিনেটর শরিফুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর/এসএম