আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ নয়, জনগণ মনে করে আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির টপ টু বটম নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে নিজ বাসা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
আওয়ামী লীগ করে যারা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, তাদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, অবৈধ অর্থপাচারকারীদের কোনোভাবেই দলে রাখা যাবে না।
ত্যাগী নেতাকর্মীদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে, বসন্তের কোকিলরা দুঃসময়ে থাকবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সুবিধাভোগীদের দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
গত ১৩ বছরের বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের তুলনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এত উন্নয়ন-অর্জন শুধু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই সম্ভব হয়েছে। দেশের এতসব উন্নয়ন অর্জন বিএনপি চোখে দেখে না, তারা দিনের আলোয় রাতের অন্ধকার দেখতে পায়।
দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে- এমন বক্তব্য দিয়ে ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন-অর্জন ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীতেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা রাখতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন থেকেই দলকে সুসংগঠিত ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে- এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
বিএনপির শাসনামলে দেশে ২৪ ঘণ্টাই লোডশেডিং ছিল বিএনপি নেতাদের একথা স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ শেখ হাসিনা সারাদেশে আলোয় আলোকিত করেছেন, বিএনপি নেতারা চোখে ঠুলি পড়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হুঙ্কার দিয়ে লাভ নেই, দেশের জনগণকে দেখাবার মতো আপনাদের এমন কোনো উন্নয়ন নেই, তাই সরকারের পদত্যাগ দাবি না করে নিজেরা পদত্যাগ করুন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনসহ অন্যন্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর/এসএম