দেশের মধ্যে এবং উজানে ভারতীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিলেট অঞ্চল) প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। এমনকি শুক্রবারের মধ্যে সিলেট অঞ্চলের সুরমা ও সারিগোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমা পার হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম (বরাক অববাহিকা), মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশের কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। প্রধান নদীগুলোর (সুরমা, কুশিয়ারা, ভোগাই-কংস, ধনু-বাউলাই, মনু, খোয়াই নদীর) পানি কয়েকটি পয়েন্টে সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে এবং সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমছে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। উভয় নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
নদী বন্দর/এসএম