টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা থেকে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার (আইটি পার্ক) মধুপুর উপজেলায় স্থানান্তরের প্রতিবাদে আজ রবিবার (২২ মে) সকাল ১১টার ঘাটাইলে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কে সর্বস্তরের হাজারো মানুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। আইটি পার্ক রক্ষা কমিটি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
উপজেলার দেউলাবাড়ী থেকে শুরু করে হামিদপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সড়কের শাহপুর, পাকুটিয়া, পোড়াবাড়ী, ব্রাহ্মণশাসন, কদমতলী ও হামিদপুর এলাকায় হাজারো মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংবাদকর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান, সুধীসমাজের প্রতিনিধি, সংস্কৃতিকর্মী, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
পার্ক রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব আতিকুর রহমান জানান, মানববন্ধনে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধন উপলক্ষে পার্ক রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক জুলফিকার হায়দারের সভাপতিত্বে ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের সামনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন কমিটির সদস্যসচিব আতিকুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক জিবিজি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মিয়া, বিআরডিবি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার হাবিবুর রহমান খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকার, জিবিজি কলেজের সাবেক ভিপি আবু সাঈদ রুবেল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ঘাটাইল উপজেলার কুশারিয়ায় প্রশাসনিক অনুমোদন ও দলিল সম্পাদনসহ পার্ক স্থাপনের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। কাজ শুরু হওয়ার আগে মুহূর্তে রহস্যময় কারণে তা মধুপুরে স্থানান্তর করা হয়। বক্তারা এই পার্ক রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এর আগে পার্ক রক্ষা কমিটি গত বুধবার টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এই পার্কের অনুকূলে ১২ একর ৭৭ শতাংশ জমি বিনা মূল্যে বরাদ্দ প্রদানের জন্য ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর পার্কের প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়।
নদী বন্দর/এএফ