দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’। ট্রেনটি রবিবার সকালে কলকাতা থেকে যাত্রা করে দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা স্টেশনে পৌঁছাবে। এরপর একঘণ্টা বিরতির পর দুপুর দেড়টায় খুলনা থেকে আবার যাত্রা করে সন্ধ্যা ৭টা ১০মিনিটে কলকাতা পৌঁছাবে।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর কলকাতা-খুলনার মধ্যে ৪৫৬ আসনের আন্তর্জাতিক বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল শুরু করে। ১০ বগির মধ্যে রয়েছে দুটি পাওয়ার কার, চারটি কেবিন বগি ও চারটি চেয়ার বগি। ভারত থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার ও রবিবার ট্রেনটি আসতো। আবার সেই দিনই খুলনা-যশোর- বেনাপোল হয়ে ভারতে ফিরে যেত।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর করোনার সংক্রমণ কমায় দেশের ভেতরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আন্তঃদেশীয় এ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ট্রেনের ৪৫৬ আসনের মধ্যে ৩১২টি এসি চেয়ার ও ১৪৪টি প্রথম শ্রেণির আসন রয়েছে। কলকাতা-খুলনার মধ্যে দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে ৯৫ কিলোমিটার ও ভারতে পড়েছে ৭৭ কিলোমিটার।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ ট্রেনে চেয়ার কোচ ভাড়া ১ হাজার ও কেবিনের সিট ভাড়া ১ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া ভ্রমণ কর রয়েছে আরও ৫০০ টাকার। বেনাপোল স্থলবন্দরে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসাসহ ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, পূর্বের নিয়মেই ট্রেনটি আবার চালু হচ্ছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা আসবে এবং এক ঘণ্টা বিরতি শেষে দুপুর দেড়টার সময় ছেড়ে যাবে। সন্ধ্যা ৭টা ১০মিনিটে ট্রেনটি কলকাতায় পৌঁছাবে।
এখন থেকে রবিবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিনই ট্রেনটি চলাচল করবে। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি যাত্রীকে এসি চেয়ারের জন্য ৩৫ টাকা ও এসি কেবিন সিটের জন্য অতিরিক্ত ৫৫ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ ভ্রমণ করসহ যাত্রীদের ১ হাজার ৫৫০ টাকা ও ২ হাজার ৫৫ টাকা দিতে হবে।
নদী বন্দর/এসএফ