1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
গোপন কক্ষের ডাকাত-সন্ত্রাসীরাই ইভিএমের বড় চ্যালেঞ্জ - Nadibandar.com
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলে ডিইউজের উদ্বেগ প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ রোববার থেকে দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে দখলদাররা যত প্রভাবশালী হোক, ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রিজওয়ানা হাসান জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: ধর্ম উপদেষ্টা একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় দুই হাজার কোটি টাকা
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩০ মে, ২০২২
  • ৭৯ বার পঠিত

ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে ‘সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের’ উপস্থিতিকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান। এ ধরনের সন্ত্রাসী-ডাকাতদের অপতৎপরতা ছাড়া ইভিএমে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে আর কোনো চাপ নেই বলে জানান তিনি।

সোমবার (৩০ মে) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিন প্রথমবারের মতো কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে (কুসিক) বিভিন্ন প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের ইভিএম কাস্টমাইজেশন দেখানো হয়।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব বলেন, ইভিএমে চ্যালেঞ্জ একটাই, প্রতিটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষে একজন করে ডাকাত ও সন্ত্রাসী দাঁড়িয়ে থাকেন আর ভোটাররা এলেই বলেন- ‘আপনার ভোট হয়ে গেছে, চলে যান’। দিস ইজ দ্যা চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে এর বাইরে আর কোনো চ্যালেঞ্জ আমি দেখি না।

তবে আগামী দিনে কোনো নির্বাচনে এরকম কিছু হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে, সাংবাদিকদের অ্যালাউ করা হবে। কোথাও এরকম কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই। কোনো চাপ নেই। আমরা টোটালি স্বাধীন। স্বাধীনভাবে কাজ করবো, দেখবেন। আমি কথা কম বলতে চাই।

কুসিক নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রতিনিধিদের কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আহসান হাবীব বলেন, তাদের অনেক প্রশ্ন ছিল। সেসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। ভবিষ্যতে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এ কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানানো হবে।

কোনো ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে বা আঙুল কেটে গেলে তা সমাধানে প্রিজাইডিং অফিসারের হাতে ১ শতাংশ ক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে ভিডিও কল দিয়ে দেখা হবে এরকম কতজন রয়েছে। যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব থাকবে না।

২০১০ সালের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নগরীর জামালখান এলাকার একটি ওয়ার্ডের ১৪টি ভোটকেন্দ্রে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইভিএম মেশিন ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হয়। সেবার নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ইভিএমে ভোটে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ইভিএম নিয়ে বেশ আগ্রহী হলেও রাজনীতিতে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শুরু থেকেই এ যন্ত্রের বিরোধিতা করে আসছিল। বিএনপির অভিযোগ, এ যন্ত্র দিয়ে দূর থেকে ভোট নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবল হক চুন্নু বলেছেন, ইভিএম ভালো, কিন্ত যারা পরিচালনা করবেন তারা তো নিরপেক্ষ নন। ইভিএমে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী কুসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৭ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ হয় ২৭ মে। আগামী ১৫ জুন এ সিটির ১০৫টি কেন্দ্রের সবকটিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে।

নদী বন্দর/এসএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com