২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আনার আহ্বান জানিয়ে যুবলীগকে প্রস্তুতিমূলক চারটি কাজের পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, প্রথমত, সেবামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে। দ্বিতীয়ত, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, নিজেদের মধ্যে সকল ভেদাভেদ ও গ্রুপিং বন্ধ করতে হবে।
চতুর্থত, সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে হবে। এ লক্ষ্যগুলো অর্জনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সোমবার (৩০ মে) দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার দ্য কিং অব চিটাগাং ক্লাব চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি চারটি কাজের কথা উল্লেখ করেন।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে ২০২৩ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার যেন রাষ্ট্রের দায়িত্বে আসে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী রাখতে হবে। ‘
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মাটি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বই শুধু গঠিত হবে না, একটি নতুন অধ্যায়েরও সূচনা হবে। নতুন নেতৃত্বের হাতে অনেক চ্যালেঞ্জ। নতুন নেতৃবৃন্দকে নতুনভাবে দল গোছাতে হবে। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যুবলীগ করতে হলে স্বচ্ছ ও ন্যায়ের রাজনীতি করতে হবে।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ বলেন, সরকার ব্যর্থ, এটি প্রমাণ করতে মরিয়া একটি মহল। তবে ওদের মুখের কথায় এখন আর মানুষ বিভ্রান্ত হয় না। তবে কিছু মানুষ রয়েছে সুযোগসন্ধানী। তারা সব সময় মানুষকে জিম্মি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়। বিদেশে অর্থপাচার করে। দেশকে অস্থির করতে পারলে তাদের জন্য লাভ। এরা এখনো মাঠে সক্রিয়। তারা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার চায় না।
তিনি গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, কিছু কিছু গণমাধ্যম দেখবেন এখন বিরোধী দলের ভূমিকায় নেমেছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করার অধিকার রাখে। কিন্তু সমালোচনা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় তবে তার সমালোচনা করার অধিকার জনগণেরও রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের যুবসমাজ এ সকল ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না। আগামী নির্বাচন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই হবে।
নদী বন্দর/এসএফ