আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন ঠিক করা হয়েছে। ওইদিন সকাল ১১টায় কাঁঠালবাড়ি প্রান্তে সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও দিনব্যাপী সেখানে নানান আয়োজন থাকবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন আওয়ামী লীগের এ সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা করছে দলটি।
সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ঘোষিত সমাবেশ সফল করতে বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকালে ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল মাদারীপুরের বাংলা বাজার ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু নিয়ে দেশের মানুষের স্বপ্নের শেষ নেই। ২৫ জুন মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এ দিনটি ঘিরে সারাদেশে মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ব্যাপক। এটি কীভাবে উদযাপিত হবে, তা নিয়ে আমরা আজ ঘাট এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর আওয়ামী লীগের জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে। পদ্মাপারের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে বেলা ১১টায় এ সমাবেশ শুরু হবে। আমরা এ কর্মসূচি সফল করতে চাই। এ সমাবেশ ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা ও ঢাকার আশপাশের মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি হবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হবে। এরপর সেখানে কালচারাল অনুষ্ঠান হবে। আশা করছি, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে যে জনসভা হবে, সেখানে কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতিতে বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এ জনসমুদ্র হবে উৎসবের জনসমুদ্র।’
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘জনসভা সফল করতে আমরা সবার সহযোগিতা চাই। সেখানে সবার অংশগ্রহণকে আমরা স্বাগত জানাবো। পদ্মা সেতু সারাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা। এটা নিয়ে যদি কেউ কোনো নীল-নকশা করে, তাহলে দেশের জনগণই তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করবে।’
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য দেশের সচেতন মানুষ মাত্রই জানেন। পদ্মা সেতু দক্ষিণবঙ্গের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির শেকড়। এতে আমাদের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে। তাই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনটি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ আসবে। এছাড়া বরিশাল বিভাগ থেকে লোকজন আসবে। আমরা মূল সমাবেশের আগে সেসব অঞ্চলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়েও মিটিং করবো। আমদের চিফ হুইপের নির্বাচনী এলাকা শিবচরে এ মিটিংয়ের আয়োজন করা হবে।’
পরিদর্শনের সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
নদী বন্দর/এসএফ