কালিতলা গ্রোয়েন, হাসনাপাড়া ও বলাইল স্পারের রেড জোনের ভেতরে এবং দিঘলকান্দি হার্ডপয়েন্টের কাছ থেকে যমুনা নদী থেকে মাটি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবাধে শত শত ট্রাক বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে এবং পৌরসভার উন্নয়ন কাজের কথা বলে চক্রটি প্রতি দিন সন্ধ্যার পর থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে।
রাতভর বালু উত্তোলন করে ট্রাকে করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি করছে। এতে হুমকিতে পড়েছে নদী ভাঙনরোধে নির্মিত কালিতলা গ্রোয়েন, স্পার, দিঘলকান্দি হার্ডপয়েন্ট ও ব্রহ্মপুত্র বন্যা-নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
জানা যায়, সারিয়াকান্দি বন্দর, পার্শ্ববর্তী গ্রাম জনপদ ও শত শত বিঘা আবাদি জমি যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষাকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েক বছর আগে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রোয়েন, হার্ডপয়েন্ট ও স্পার নির্মাণ করে। গ্রোয়েন ও হার্ডপয়েন্ট নির্মাণের কারণে রেড জোনের ভেতর ক্রমশ বালু জমে ভূমি পুনরুদ্ধার হচ্ছে।
একই সঙ্গে নদীর গতিপথ পূর্বদিকে স্থানান্তর হয়ে জনপদ নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নদীপাড়ের কয়েক জন জানান, অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে আমাদের গ্রাম, ভিটেমাটি ভাঙনের মুখে পড়বে।
নদী বিশেষজ্ঞরা জানান, রেড জোনের ভেতর থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে দ্রুত নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গ্রোয়েন, হার্ডপয়েন্ট ও জনপদ ভাঙনের মুখে পড়বে। এ ব্যাপারে সারিয়া-কান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান বলেন, পৌরসভার কাজ টেন্ডার দিয়ে করা হয়। যমুনা নদী থেকে কখনো বালু উত্তোলন করা হয় না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বালু উত্তোলন বন্ধের দায়িত্ব প্রশাসনের, আমরা এ বিষয়ে এমপিকে অবহিত করেছি। সারিয়াকান্দি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ওসি হিসেবে আমার চোখে পড়লে ব্যবস্হা নেই। মূলত দায়িত্ব ইউএনওর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের। আপনি তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে। স্থানীয় এমপি সাহাদারা মান্নান বলেন, আমি অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পুলিশকে খবর দিলে ঘুরে এসে বলে আমরা কোথাও বালু উত্তোলন দেখতে পাচ্ছি না। আপনি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলুন।
নদী বন্দর/এসএফ