চলতি বছরের (২০২২) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি (রুটিন) প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ জুন তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ৬ জুলাই। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম আমিরুল ইসলামের সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
এ বছর এসএসসিতে শিক্ষার্থীদের তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। এসএসসিতে বিভাগভেদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষা হবে।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হলেও করোনা কারণে এ বছরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে হবে।প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল/রচনামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
এতে বলা হয়, পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিনদিন পূর্বে সংগ্রহ করবে। সব শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।
পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাশ করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে এবং পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় নন-প্রোগ্রামেবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
এতে বলা আরও হয়, কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না। সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে। তবে ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব স্ব কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
যেদিন যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: এবার বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র ও সহজ বাংলা প্রথমপত্র ১৯ জুন, বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয়পত্র ও সহজ বাংলা দ্বিতীয়পত্র ২০ জুন, ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথমপত্র ২২ জুন ও ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয়পত্র ২৫ জুন, গণিত (আবশ্যিক) ২৭ জুন, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), কৃষিশিক্ষা (তত্ত্বীয়), সংগীত (তত্ত্বীয়), আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়) এবং চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়) ২৮ জুন, পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৩০ জুন, রসায়ন (তত্ত্বীয়), পৌরনীতি ও নাগরিকতা এবং ব্যবসায় উদ্যোগ আগামী ২ জুলাই, ভূগোল ও পরিবেশ ৩ জুলাই, উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) ৪ জুলাই, হিসাববিজ্ঞান ৫ জুলাই, জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) এবং অর্থনীতি পরীক্ষা ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
নদী বন্দর/এসএফ