1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ফের ডলারের বিপরীতে মান হারালো টাকা - Nadibandar.com
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২
  • ১০০ বার পঠিত

ব্যাংকগুলোর হাতে ডলারের দাম ছেড়ে দেওয়ার পর বেড়েই চলেছে ডলারের দাম, বিপরীতে মান হারাচ্ছে দেশীয় মুদ্রা টাকা। এবার ডলারের বিপরীতে টাকার দাম আরও ৫০ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন দামে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২ টাকা ৫০ পয়সা, আগে যা ছিল ৯২ টাকা।

মুক্তবাজার পদ্ধতিতে চাহিদা বেশি থাকায় কয়েক মাস ধরে চড়া ডলারের মান। গত মঙ্গলবার ডলারের দাম সর্বোচ্চ ৯২ টাকায় বিক্রি করেছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ঠিক একদিন পরই বুধবার হঠাৎ করে ডলারের দাম উল্টো ৫০ কমে প্রতি ডলার বিক্রি ৯১ টাকা ৫০ পয়সা বিক্রি করা হয়। এর ঠিক তিনদিন যেতে না যেতে আবারও ডলারের দাম ৫০ পয়সা বেড়ে আবারও ৯২ টাকায় দাঁড়ায়।

এর একদিন পরই আবারও দাম বাড়লো ডলারের। এর বিপরীতে একদিনের ব্যবধানে ৫০ পয়সা দর হারালো টাকা। সোমবার (১৩ জুন) আন্তঃব্যাংকে প্রতি এক ডলার ৯২ টাকায় বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, করোনার পরে আমদানি ব্যয় অধিক হারে বেড়ে গেছে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি বাড়ায় বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি চাহিদা সামালাতে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণ করছে না। ব্যাংকগুলো যে দামে লেনদেন করে, তার মধ্যে একটি দর বিবেচনায় নেওয়া হয়। আজ ৯২ টাকা ৫০ পয়সাকে বিবেচনায় নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (৭ জুন) ডলারের দাম ৫ পয়সা বাড়িয়ে ৯২ টাকা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে এক মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৫ টাকা ৫৫ পয়সা কমেছে। আর চলতি বছরে শুধু ডলারের বিপরীতে অন্তত ১১ বার মান হারিয়েছে টাকা।

গত ২ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। যা তার আগে ছিল ৮৯ টাকা। পরে ডলারের বেঁধে দেওয়া দাম থেকে সরে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দাম নির্ধারণ ব্যাংকগুলোর হাতেই ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের (২০২১ সালের) আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু-এক পয়সা করে বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ৮৫ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এ বছরের ৯ জানুয়ারিতে এটি বেড়ে ৮৬ টাকায় পৌঁছে। এরপর ২২ মার্চ পর্যন্ত এ দরেই স্থির ছিল।

পরে গত ২৩ মার্চ আন্তঃব্যাংকে আরও ২০ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। ২৭ এপ্রিল আরও ২৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সায়। ১০ মে বাড়ে আরও ২৫ পয়সা। ১৬ মে বাড়ে ৮০ পয়সা। ২৩ মে বাড়ে ৪০ পয়সা।

২৯ মে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে ৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপরও বাজার স্থিতিশীল হয়নি। পরে সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশের (এবিবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলার ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়।

আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য সেলিং রেট নির্ধারণ করা হয় ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা। যদিও ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৮৯ টাকা ৮০ পয়সার প্রস্তাব করেছিল।

সোমবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৯৪ থেকে ৯৫ টাকার মধ্যে কেনা-বেচা করছে। আর খোলা বাজারে প্রতি ডলারের মূল্য রাখা হচ্ছে ৯৯ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

নদী বন্দর/এবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com