নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সড়ক এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ধাপে ধাপে শেষ হচ্ছে চূড়ান্ত পর্যায়ের ফিনিশিংয়ের কাজ। এর ধারাবাহিকতায় পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষের পর এবার বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে একযোগে পুরো সেতুর সড়ক বাতি প্রজ্বলন করা হলো।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেতুর মাওয়া থেকে জাজিরাপ্রান্ত পর্যন্ত সর্বমোট ৪১৫টি বাতি প্রজ্বলন করা হয়।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ১৭৫ ওয়াটের প্রতিটি এলইডি লাইটের একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব সাড়ে ৩৭ মিটার। পদ্মা নদীতে তীব্র বাতাস উপেক্ষা করে টিকা থাকার উপযোগী করে স্থাপন হয়েছে সড়কবাতিগুলো। ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বাতাসের গতি সহ্য করতে পারবে। মূল সেতুতে ৩২৮টি এবং দুই প্রান্তের সংযোগ সেতুতে ৮৭টি লাইট রয়েছে।
গেলো বছরের ২৫ নভেম্বর মু্ন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্প পোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট বসানো ও এরমধ্যে বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। গত ৪ জুন বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। ওইদিন সেতুর ১৪ নম্বর থেকে ১৯ নম্বর পিলারের মাঝামাঝিতে ২৪টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জলানো হয়েছিল। এরপর ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে সেতুর সবকটি বাতি জলানো হয়।
আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। পরদিন থেকে সকাল ৬ থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
নদী বন্দর/এসএফ