অজানা শঙ্কার মধ্য দিয়েই আজ বুধবার শুরু হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সিটি করপোরেশন হওয়ার পর তৃতীয়বারের মতো পছন্দের জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছে কুমিল্লা নগরবাসী। ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি উৎসবমুখর নির্বাচন হবে বলে আশা করছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা এ নির্বাচনকে গত দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর জন্য বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন, সেই সঙ্গে এই ভোট হবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্যও ‘লিটমাস টেস্ট’।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় নির্ধারিত সময়েই এ নগরীর ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। এবার সব কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইভিএমে। আর এবারই প্রথম সব কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে রয়েছে সিসি ক্যামেরা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, আমরা সুষ্ঠু ভোট করার জন্য বদ্ধপরিকর। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কুলার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশের কর্মকর্তারা সবাই সজাগ রয়েছেন। এছাড়া নগরীর প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আমি আশাবাদী, একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন হাজার ৬০৮ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। ৭৫টি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ৩০টি র্যাবের টিম, অর্ধশতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে আছেন।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ১০৮ জন ভোটের লড়াইয়ে আছেন। নির্বাচন কমিশন জানায়, কুমিল্লা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৬৪০টি।
নদী বন্দর/এসএফ