রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে নিয়মিতই ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এসময়ে দেশের অন্য অঞ্চলসমূহে বৃষ্টির দেখা নেই। এতে গরমের তীব্রতা বেড়ে বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে।
তবে উল্লিখিত তিন বিভাগ ছাড়াও এখন অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বুধবার (১৫ জুন) বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায়।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, মৌসুমি বায়ু দেশের উত্তরাঞ্চলের ওপর সক্রিয় এবং দেশের অন্য অঞ্চলসমূহেও মোটামুটি সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।
যশোর, কুষ্টিয়া ও পাবনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে জানিয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামী তিনদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএফ