অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (এডাস্ট) এর ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সমাবর্তন হয়।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব ও গ্র্যাজুয়েটদের সার্টিফিকেট প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী সিকদার।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘দেশের শিক্ষার্থীদের দক্ষ, যোগ্য ও শিক্ষিত কর্মশক্তিতে পরিণত করার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উপযোগী করে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। ৫ম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি হিসেবে স্থায়ী সনদের মর্যাদা লাভ করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। আমি আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়টি ভবিষ্যতে শিক্ষাক্ষেত্রে আরো উৎকর্ষ লাভ করবে।’
কনভোকেশন স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ইন্ডিয়া, এর সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এস.এস. মান্থা। তিনি বলেন, ‘এই অর্জিত জ্ঞান শুধুমাত্র সার্টিফিকেট লাভের নয়, দেশ, জাতি তথা সমাজ মানুষের কল্যাণে নিজেদেরকে আত্বনিয়োগ করতে হবে।’
লিয়াকত আলী সিকদার বলেন, ‘আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান ও সমকালীন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। মহামারীর অশান্তি সত্ত্বেও বাস্তবতার কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক ও শারীরিক দৃঢ়তা দিয়ে প্রমাণ করেছেন আগামীতে আপনারা বিশ্বমঞ্চে নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দিতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম আশা প্রকাশ করেন যে, এডাস্ট গ্র্যাজুয়েটরা দেশের যোগ্য ও সেরা নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে। তাদের পেশাগত জীবনে ক্রমাগত সাফল্য অর্জন করার পাশাপাশি তাদের কৃতিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়, দেশ ও সমাজকে গর্বিত করবে।
এই সমাবর্তনে ২০১৬ থেকে ২০২১ সময়কাল পর্যন্ত চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড, বিওটি চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড, ও ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড, এই ৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ৩০ গ্রাজুয়েটকে সম্মাননা প্রদানসহ ৫ সহস্রাধিক গ্রাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবর্গ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, কুটনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অতিথিবৃন্দ, সাংবাদিক, ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠান মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়।
নদী বন্দর/এএফ