দু’দিনের টানা বর্ষণে মৌলভীবাজার জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে মৌলভীবাজার সদর কুলাউড়া, জুড়ী, রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার ১০ গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে গ্রামিণ রাস্তাঘাট। কোনো কোনো বাড়ির বসতঘরে পানি ঢুকেছে। ডুবেছে অনেকের সবজিক্ষেত।
অতিবৃষ্টিতে শহর ও গ্রামের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন খাল-বিল ও নালা পানি ধারণক্ষমতা হারাচ্ছে। হাওরের জমাট পানি ও খালবিলের পানি উপচে পড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল ও খলিলপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্ৰামগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে।
সদরের ঘাগুটিয়া গ্রামের সেলিম খান বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমার সবজির বাগান তলিয়ে গেছে। শিম, ঝিঙ্গা বরবটি ও ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে।
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মারুফ আহমদ বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এলাকাজুড়ে পানি বেড়েই চলছে। পানাই নদীর জোয়ারে রাস্তা ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের ইকবাল হোসেন বলেন, উজান থেকে ঢল নামছে। এতে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
রাজনগর উপজেলার জাবেদ মিয়া বলেন, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে টানা বর্ষণে রাজনগর বাজারে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়া কুশিয়ারা পাড়ের আমনপুর, খাসগাঁও, কেশরপাড়া ও চিক্কা গ্রামের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান বলেন, মৌলভীবাজারের নদ-নদীগুলোর পানি এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এক দিনে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে গেছে। যদি উজানের ঢল নেমে আরো কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হয় তাহলে এর প্রভাব পড়বে।
নদী বন্দর/এসএফ