1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: পানিবন্দি লাখো মানুষ - Nadibandar.com
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২
  • ১৩১ বার পঠিত

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নাঞ্চল ও নদ-নদীর অববাহিকায় বসবাসকারী চরাঞ্চলের মানুষজন। অনেক পরিবার নৌকা ও বাঁশের মাচায় আশ্রয় নিয়ে দিন পার করছে। অনেকে আবার নৌকায় বসতবাড়ির জিনিসপত্র ও পরিবার নিয়ে উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।

দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পনির সংকট। নিজেদের পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চলের অনেকেই তাদের গবাদি পশু নিয়ে উঁচু জায়গায় তুলছেন।

শনিবার (১৮ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধরলার পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নাগেশ্বরী বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, বন্যায় তার ইউনিয়নের ৫০০-৬০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি এসব মানুষ অনেক দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে।

চিলমারী উপজেলার নয়ারনাট ইউনিয়নের আমিনুল বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরে প্রবেশ করায় বউ বাচ্চা নিয়ে ঘরে উঁচু মাচা করে আছি। যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আর ঘরে থাকারও উপায় থাকবে না।

অন্যদিকে পানির তোড়ে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ১শ মিটার ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় নদ-নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্পিডবোট, নৌকা এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা মজুত রয়েছে।

নদী বন্দর/এআরকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com