সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বানভাসি এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও জ্বালানির তীব্র সংকট।বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সিলেটের সবগুলো বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। যে কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা।
বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর ও রেলওয়ে স্টেশন। সারা দেশের সঙ্গে এখন রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিলেটের। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।
এবার বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। চিকিৎসকরা বলছেন, বন্যার পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে রোগ নির্ণয় পরীক্ষা।
আজ দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে নিচতলার ওয়ার্ডগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করে। হাসপাতালের জেনারেটরে পানি ঢোকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় হাসপাতালের অস্ত্রোপচার বিভাগ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ নিচতলায় হাঁটু সমান পানি। একইসঙ্গে হাসপাতালের কেন্দ্রীয় জেনারেটরও পানির নিচে। হাসপাতালের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে জরুরি অপারেশন, আইসিইউ এবং সিসিইউর রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছি।
এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতির কারণে মেডিকেল কলেজও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ ড. মঈনুল হক বলেন, আবাসিক হল ও কলেজে পানি ঢুকে পড়ায় আপাতত কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে ক্লাশ ও পরীক্ষা। শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে হল ছাড়তে শুরু করছে।
নদী বন্দর/এসএফ