খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে বর্ষণ হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারাদেশে শুক্রবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
শুক্রবার সীতাকুন্ডে সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সন্দ্বীপে ৪৪, ফেনী ৪৩, গোপালগঞ্জ, খুলনা, ও চুয়াডাঙ্গায় ৩৪ এবং নিকলিতে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকায় মাত্র ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পরবর্তী তিন দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ূর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ূ বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
ঢাকায় শুক্রবার সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে এবং শনিবার সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে।
সূত্র: বাসস
নদী বন্দর/এসএফ