অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আজ (সোমবার) সকাল থেকেই রাজধানীতে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কবলে পড়ে অনেকেরই অফিস ও গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে যানজট পরিস্থিতিও খারাপ হয়েছে। তার উপর হঠাৎ বৃষ্টি পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে।
রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপড়া, কাজীপড়া, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, বিজয়সরণী, ফার্মগেট, বাংলামোটর, তেজগাঁও, কাকরাইল, নিউমার্কেট, বাড্ডা, মেরুল বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, পল্টন মোড়, গুলিস্তান, হানিফ ফ্লাইওভারের উপরেসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে।
এসব রাস্তায় ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তার উপরে হঠাৎ বৃষ্টিতে যানজট পরিস্থিতি তীব্রতর হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পুরো ঢাকায় যেন পরিবহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সড়কে এক স্থানেই দীর্ঘ সময় গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। যানজটের মূল কারণ হিসেবে কোরবানির পশু আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত যানবাহনের চাপকে দায়ী করেছেন অনেকে।
মিরপুর থেকে দুই ঘণ্টায় পল্টনে পৌঁছেছেন সাজ্জাত ভূইয়া। শাহবাগ পর্যন্ত দেড় ঘণ্টায় পৌঁছালেও সেখান থেকে পল্টন পর্যন্ত আসতে ৩০ মিনিট সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, ঈদের আগে রাস্তায় যানজট বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। একস্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে কতটা সময় লাগবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না। তার উপরে বৃষ্টি এলে গাড়ি আর চলে না। এমন পরিস্থিতি ঈদের আগে পর্যন্ত থাকবে বলে মনে হয়।
নদী বন্দর/এসএফ