সুনামগঞ্জ-সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এরকম বন্যায় কিছুই থাকে না, এখানেও তাই হয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে বন্যা মোকাবিলায় দেশের সব বাহিনী কাজ করেছে। সরকার ত্রাণ দিচ্ছে। সারাদেশের হৃদয়বান লোকজনরাও আসছেন। এখন ঘরবাড়ি নির্মাণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনের কাজ খুব শিগগির শুরু হবে। নষ্ট হওয়া বইও শিক্ষার্থীরা পাবে। পুনর্বাসনের কাজে সহায়তায় যতদিন প্রয়োজন সেনাবাহিনী থাকবে।
এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দিবাস্বপ্ন দেখছে। তারা জনগণ থেকে দূরে সরে গেছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রথমে দুর্গতদের ত্রাণ (দিতে হবে)। পরে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত গৃহ ও সড়ক নির্মাণ (করতে হবে)। নিজের ভিটায় যেতে পারছে না হাজারও পরিবার। এসব মানুষদের ছোট ছোট বসতঘর নির্মাণ করে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৩০ বছরের নির্মাণ গ্রামীণ সড়ক শেষ হয়ে গেছে। এগুলো চলাচলের উপযোগী করতে হবে। সড়ক যেখানে ভেঙেছে, ওখানে সড়ক নয়, সেতু হবে। কৃষকদের ত্রাণের প্যাকেটের মতো সার-বীজের প্যাকেট দিতে হবে। সর্বোপরি সরকার, রাজনৈতিক কর্মী, সুশীল সমাজের লোকজন সবাই দুর্যোগ মোকাবিলার টিম হিসেবে কাজ করতে হবে।’
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভয়াবহ বন্যাপরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলা ও আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এই দুই মন্ত্রী।
এ সময় সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন, পৌরমেয়র নাদের বখত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুই মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
নদী বন্দর/এসএফ