টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই-লৌহজং নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনের ফলে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি।
হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ হোসেন জানান, হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মাদরাসা, মসজিদ, হাট ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মির্জাপুর-বাসাইল রাস্তা, ফতেপুর-মহেড়া-মির্জাপুর রাস্তাসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান বংশাই নদীর ভাঙনের মুখে রয়েছে। হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ ভেঙে পড়েছে। এখন পুরো এলাকা হুমকির মুখে। এলাকাবাসীর দারির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে গাইড বাঁধ নির্মাণ হলেও প্রতি বছর ভাঙন অব্যাহত থাকায় বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে।
জামুর্কি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি এ মতিন জানান, লৌহজং নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাঝালিয়া, গুনটিয়া, চুকুরিয়া, বরাটি, পুষ্টকামুরী, দেওহাটা, কোর্ট বহুরিয়া, বহুরিয়া, কামারপাড়া, নাগরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা নদী ভাঙনে বহু পরিবার দিশেহারা হয়ে পরেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট, হাট বাজারসহ ফসলি জমি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মির্জাপুর উপজেলার হাট ফতেপুর বাজার ও স্কুল রক্ষার জন্য বংশাই নদীর পাড়ের গাইড বাঁধে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। বরাদ্দ আরও বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি জাতীয় সংসদ সদস্য, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।
এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদী বন্দর/এসএস