নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আমার এবং ভোটের বিরুদ্ধে কয়েকজন কাউন্সিলর একরাম চৌধুরীর থেকে টাকা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য বিএনপির দু-তিনজন কাউন্সিলরকেও তারা টাকা দিচ্ছে। আজকে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত সাহেব আসার কথা, কিন্তু তিনি আসেন নি। উনারা এসব করে ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।’
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে কোম্পানীগঞ্জে ডাকবাংলায় মিলনায়তনে এক নির্বাচনী কর্মী সভায় এসব কথা বলেন কাদের মির্জা।
সতন্ত্র এই পৌর মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘সাংবাদিকরা আমার মূল কথাগুলো লেখে না, আমি শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতির পক্ষে কথা বলি কিন্তু তারা তা প্রকাশ করে না। আমার বলা কথাগুলোর মধ্যে কিছু অংশ লিখে প্রকাশ করে। ওবায়দুল কাদের সাহেব কাজের লোকের সামনে আমাকে গালমন্দ করে, বলে আমি নাকি স্বঘোষিত মেয়র প্রার্থী। এত অপমান আমাকে করছে। কয়েকজন নেতা বলে, আমি ওবায়দুল কাদেরের ভাই হিসেবে এসব বলছি। আমাকে মোবাইলে হুমকিদাতা ওই মহিলার বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ থেকে কি বোঝা যাচ্ছে? মুনাফিক আল্লার দোহাইও শুনে না। চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সাথে ওবায়দুল কাদের নাই, প্রশাসন নাই, কেন্দ্রীয় নেতারাও নাই। শুধু আপনারা আছেন। আপনাদের (ভোটারদের) কোন কিছু হলে সব দায়দায়িত্ব প্রশাসন, নির্বাচন অফিসার, একরাম, নিজাম তারা নিবে। শেখ হাসিনা, আব্দুল হামিদ সাহেব ও কয়েকজন নেতা ছাড়া আর কোন ভালো নেতা দলে নেই।’
নদী বন্দর / জিকে