দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি বেড়েছে। এ কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। মণ প্রতি কমেছে প্রায় ২০০ টাকা। আমদানিকারকদের দাবি গম আমদানির জন্য নতুন করে অনুমতি পেলে দাম আরও কমে আসবে। প্রতিদিনই আগের এলসি করা গম বন্দরে প্রবেশ করছে।
শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে বন্দরে প্রতি মণ গম ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ মে হঠাৎ করে গম রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। অভ্যন্তরীণ জটিলতায় আগের করা এলসির গম রপ্তানি করার কথা থাকলেও সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবারও ২৯ মে থেকে এ বন্দর দিয়ে গম আমদানি শুরু হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ জানান, বন্দরে আগের এলসি করা গম আমদানি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এখন আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুরুর দিকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানির পরিমাণ কিছুটা কম ছিল। ধীরে ধীরে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বন্দরে কমেছে গমের দাম। প্রতি কেজি গম ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ টাকা কম। এরই মধ্যে দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। ভারত সরকার নতুনভাবে গম আমদানির অনুমতি দিবে এমনটা আশা করছি।
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, সম্প্রতি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানিকৃত গম দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। বন্দরের আমদানিকৃত গম ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত ছাড় করতে পারে, সেদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে।
নদী বন্দর/এসএস