1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
পরমাণু অস্ত্রের হুমকি থেকে বিশ্বকে মুক্ত রাখার আহ্বান - Nadibandar.com
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
  • ৮১ বার পঠিত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা আশা করি পারমাণবিক বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) দশম পর্যালোচনা সম্মেলন থেকে এমন সিদ্ধান্ত বের হয়ে আসবে যা বিশ্বকে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি থেকে মুক্ত করতে চুক্তিটির সার্বজনীনতা এবং বাস্তবায়নকে আরো সহজতর করবে’। মঙ্গলবার ভোরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ‘দশম এনপিটি পর্যালোচনা সম্মেলন’র উদ্বোধনী দিবসে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ঐতিহাসিক প্রথম ভাষণে বিশ্বকে পারমাণবিক যুদ্ধের কবল থেকে মুক্তির যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তা উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘এই আহ্বানকে ভিত্তি করেই পারমাণবিক অস্ত্রের সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পূর্ণ এবং অটল প্রতিশ্রুতির ভিত্তি তৈরি হয়েছে যা আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও বটে’।

মানবতার নিরাপত্তাকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে মুষ্টিমেয় কয়েকটি রাষ্ট্র স্থায়ীভাবে যে পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রেখেছে তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন এনপিটির তিনটি স্তম্ভ-পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ, এর বিস্তার রোধ এবং পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে কার্যকর বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে, তিনি চুক্তির ধারা-৪ এর বৈষম্যহীন বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাস্থ্যসেবা এবং কৃষিসহ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তির বিকাশ, গবেষণা, উৎপাদন এবং ব্যবহার করার জন্য সকল রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারমাণবিক প্রযুক্তির গবেষণায় বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মানবজাতির স্বার্থে এর শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের সম্ভাবনা অন্বেষণের আহ্বান জানান।  

জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক

এনপিটি রিভিউ কনফারেন্স যোগদানের পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত আলোচনাকালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা পূনর্ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। আরো বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিয়োগ প্রদানের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, অচিরেই আফ্রিকার বিভিন্ন শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরো শান্তিরক্ষী ও অস্ত্র সরঞ্জাম নেওয়া হবে।

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামরিক উচ্চ পদে আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য মহাসচিবের নিকট অনুরোধ জানান। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান এবং অব্যাহতভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কৃতজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ইউক্রেন যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গঠিত গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপে যোগ দিতে সম্মত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

নদী বন্দর/এসএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com