উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার ও শহরের হার্ডপয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
দ্রুত পানি বাড়ায় জেলার কাজিপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। প্রতিদিনই ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষ। জেলার নদ-নদীর পানির চাপ বাড়ায় পাট ও আমন ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন চরাঞ্চলের কৃষক।
বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) সকালে কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫৭ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১৫ দশমিক ২৫ মিটার)। এছাড়া, শহরের হার্ডপয়েন্টে ১২ দশমিক ৫৬ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১৩ দশমিক ৩৫ মিটার।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উজানের ঢলে যমুনায় পানি বাড়ছে। আরও চার-পাঁচ দিন পানি বাড়বে। এতে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।
পানি উন্নয়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসের শুরু থেকে প্রথম
দফায় যমুনায় পানি বাড়তে থাকে। ১৮ জুন জেলার সবগুলো পয়েন্টেই বিপৎসীমা অতিক্রম করে যমুনার পানি। ২৩ জুন থেকে পানি কমতে শুরু করে। কয়েক দফা বাড়া কমার পর সর্বশেষ গত ১ আগস্ট হঠাৎ করে আবার পানি বাড়তে শুরু করে। গত তিন দিন ধরে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনায় দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে। পানি বাড়লেও আপাতত বন্যার কোনো পূর্বাভাস আমাদের কাছে নেই।
নদী বন্দর/এসএস