মোংলা বন্দরের অদূরে হিরনপয়েন্টে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২ টায় নোঙ্গর করে ‘ইউনাইটেট কিংডম পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রেজুলেট-বে’ নামে বিদেশী জাহাজ। জাহজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স সামুন্দা শিপিং।
ওই জাহাজের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পাহারাদার (ওয়াচম্যান) নিয়োগের নিয়ম থাকলেও সামুন্দা শিপিং সেটা করেননি। এ নিয়ে বন্দরের ৩০৭ জন পাহারাদারের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর বন্দরে আসা আরও একটি বিদেশি জাহাজে ওই শিপিং এজেন্টটি ওয়াচম্যান বুকিং দেননি। আর যে কারণে অহরহ ঘটছে এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি ডাকাতিসহ নানা দুর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে সামুন্দা শিপিং এজেন্টের উপদেষ্টা মো. লিয়াকত আলী বলেন, দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের আনা পণ্য ও জাহাজে থাকা অন্যান্য মালামাল দেখভালের জন্য পাহারাদার নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন কিন্তু ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন পণ্যবাহী জাহাজে ওয়াচম্যান বুকিং না নিলে আমাদের কিছু করার নেই।
তবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন বলেন, বন্দরের বিভিন্ন সভায় জাহাজে ওয়াচম্যান নেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। কিন্তু পাহারাদার (ওয়াচম্যান) জাহাজে না নিলে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে সে ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সুনাম নষ্ট হবে বিশ্ব বাজারে। আর সেক্ষেত্রে জাহাজ কর্তৃপক্ষই এর দায়ভার গ্রহণ করবেন। বন্দরের নিয়ম না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান বন্দরের হারবার মাষ্টার।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, স্থানীয় শিপিং এজেন্ট সামুন্দা শিপিংয়ের কর্মকর্তাদের গত ৬ ডিসেম্বর আসা বিদেশি জাহাজ ‘এমভি ডেনিজ এম’এ ওয়াসম্যান বুকিং দিতে চিঠি দিয়ে জানানো হলেও তারা কথা শোনেন নি। আজ আবারও তাদের কড়াভাবে বলা হবে, নিয়ম না মানলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মোংলা বন্দর ষ্টিভিডরিং ওয়াচম্যান ওয়েলফেয়ার সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল ফকির বলেন, এ ব্যাপারে বন্দরের চেয়ারম্যান, হারবার মাষ্টার ও ট্রাফিক কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বিশ্ব বাজারে মোংলা বন্দরের সুনাম রক্ষার্থে আন্দোলন করা হবে।
নদী বন্দর / এমকে