লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় এবং গত কয়েক দিনের পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারে নিঝুমদ্বীপসহ হাতিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় নতুন করে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়ন, চরকিং ইউনিয়ন ও চরঈশ্বর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। নতুন করে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাতিয়ার বিচ্ছিন্ন নিঝুমদ্বীপে বেড়ীবাঁধ না থাকায় ৩/৪ ফুট জোয়ারের পানিতে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এসব এলাকার পাকা সড়ক ও কাঁচা রাস্তাগুলো ধ্বসে যাচ্ছে। এছাড়া হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর ও চানন্দী ইউনিয়নের কেরিংচরসহ নিম্নাঞ্চল এখনো গুলো ৪/৫ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে।
এদিকে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডের ভিতরে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় আফাজিয়া বাজার, রামচরণ বাজার ও দাসের হাট বাজার এলাকার অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে পড়েছে। এমনকি অনেক দোকানে পানি প্রবেশ করায় মালামাল গুলো নষ্ট হতে চলেছে। নিমজ্জিত এলাকার ক্ষেতের ফসল নষ্ট হচ্ছে ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম হোসেন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএইচ