প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। সেটি উৎপত্তিস্থলে ঘনীভূত হচ্ছে। এর ফলে বৃহস্পতিবার মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূলের দুবলার চরে মেঘলা-গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে এমন আবহাওয়ার মধ্যেও সাগরে মাছ শিকারে মগ্ন রয়েছেন জেলেরা।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার বলেন, এখানকার আকাশ কিছুটা মেঘলা রয়েছে। তবে সাগর খুব বেশি উত্তাল না থাকায় জেলেরা স্বাভাবিকভাবে মাছ ধরছেন।
এদিকে প্রচণ্ড দাবদাহে মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদে কাজ করতে বিপাকে পড়ছেন নিতান্ত খেটে খাওয়া দিনমজুররা। গরমে হাসফাঁস করছেন শিশু-বৃদ্ধরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক অমৃত রায় বলেন, গরমে ঘরে টেকা যাচ্ছে না, বাহিরেও গরম। গরম আগেও পড়েছে কিন্তু এবারের এতো বেশি গরম পড়েনি। বৃষ্টি না হওয়ায় গরম বেশি। গরমে মাঠে ধানের বীজও ফেলতে পারছি না, ফেললেও তা হবে না রোদে পুড়ে যাবে।
সিগনাল টাওয়ার এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর মো. ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, গরমে বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কাজ কর্মও কম। গরমে ঠিকমতো কাজ করা যায় না। তাই কেউ কাজ দিতে কিংবা করাতে চায় না। খুব কষ্টে আছি গরমে।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোংলায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মোংলায় বিরাজ করছে। দাবদাহে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। সেটি উৎপত্তিস্থলে ঘনীভূত হচ্ছে। এর ফলে বৃহস্পতিবার মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এতে উপকূলে দাবদাহের পাশাপাশি গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।
নদী বন্দর/এসএইচ