বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলনে জয় লাভ করলেই নির্বাচনে জয়লাভ করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি, বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আন্দোলন করবেন আর ব্যর্থ হলে নন্দ ঘোষ আওয়ামী লীগ? আপনাদের আন্দোলন কোথায়? আন্দোলনে সোনার হরিণ দেখা না দিলে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কোনোদিনও দেখা দেবে না। ষড়যন্ত করে কাউকে হত্যা করতে পারবেন, ক্ষমতা পাবেন না।
তিনি আরো বলেন, ১৩ বছর ধরে কত মাস, সপ্তাহ দিন আর পদ্মা মেঘনায় কত পানি দেখা গেল কিন্তু ফখরুল সাহেবদের আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা গেল না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লি দূরস্থ এখনও অনেক দূরে।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে গবেষক, ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে হবে। এ ছাড়াও সমস্ত তথ্য মিলে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা এখন সময়ের দাবি। শ্বেতপত্র প্রকাশ একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রীতি। এটা এজন্য যে সাধারণ মানুষ যাতে জানতে পারে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে কী হয়েছিল এবং কেন হয়েছিল।
ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা বঙ্গবন্ধু যে ছাত্রলীগ চেয়েছিলেন সেরকম ছাত্রলীগ হওয়ার চেষ্টা করো। তোমাদের হাতে বই, খাতা, কলম দেখতে চাই। তোমার উপস্থিতি দেখতে চাই শ্রেণিকক্ষে ও গ্রন্থাগারে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি কিন্তু দেহের শেষ রক্ত বিন্দু থাকতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শরীরে একটি ফুলের আঁচড়ও পড়তে দেব না।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন পূর্বে পুরান ঢাকার ‘টিকটক বয়’ খ্যাত ইশরাক বলেছে সে নাকি ছাত্রলীগকে গোনায় ধরে না। ইশরাককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আরে বেটা তুই তো ছোট বাচ্চা। তোর মরহুম আব্বার প্রতি সম্মান রেখে বলছি, তোর আব্বাকে জিজ্ঞেস কর ছাত্রলীগ কী জিনিস? তুই তো মূর্খ মানুষ। টিকটক বাদ দিয়ে মাঠে আয়। মাঠে খেলা হবে আর ঢাবি ছাত্রলীগ সেখানে স্ট্রাইকারের ভূমিকা পালন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথে কোনো অপশক্তি যেন মাঠে এসে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ তরুণদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এ সময় তিনি বলেন, যে-ই ষড়যন্ত্র করবে তাকে মাঠেই প্রতিহত করা হবে।
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এ সময় টিএসসি মিলনায়তন বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল।
নদী বন্দর/এসএইচ