ঘুষ লেনদেন ও অর্থ পাচারের দায়ে দণ্ডিত দুর্নীতি দমন কমিশনের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
এ আইনজীবী বলেন, ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। তার মানে মোট সাজা ৫ বছরের মধ্যে ৩ বছরের বেশি সাজা তিনি খেটে ফেলেছেন।
এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিলে যাবে কিনা জানতে চাইলে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এনামুল বাছিরের জামিনের বিষয়টি দুদককে জানিয়েছি। আপিলে যাওয়ার বিষয়ে দুদক এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
ঘুষ লেনদেন ও অর্থপাচারের মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন। রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড আদালত।
এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে বলে দেওয়া হয়। অর্থাৎ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বাছিরকে।
তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তারা দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকে সাজা দেননি বিচারিক আদালত। এ রায়ের পর গত ১৩ এপ্রিল এনামুল বাছিরের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তার অর্থ দণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের যাবতীয় নথি তলব করেন উচ্চ আদালত। এর আগে এপ্রিলে একই মামলায় দণ্ডিত বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
নদী বন্দর/এআর