বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে নতুন নিয়মে আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) থেকে অফিস শুরু করেছেন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, নতুন নিয়মে সকাল ৮টায় অফিসে এসেছেন অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সব মন্ত্রণালয়গুলোতে উপস্থিতিও ছিল ভালো।
সকালে অফিসে এসে কেউ কেউ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও অনেকেই কিছুটা সমস্যার কথা বলছেন। তবে, ধীরে ধীরে মানিয়ে নেওয়া যাবে বলেও মনে করছেন তারা।
বুধবার সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, কর্মঘণ্টা কমানোর ফলে সুবিধা হলেও সকাল ৮টায় অফিস শুরুর সিদ্ধান্তে কিছুটা অসুবিধায় পড়েছেন তারা। এর মধ্যে অন্যতম হলো- ছেলে-মেয়েদের স্কুলে না দিয়েই অফিসে আসতে হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাশতা করি। এরপর ৭টায় বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাই। আমার দুই সন্তান আলাদা দুটি স্কুলে পড়ে। তাদেরকে ৮টার মধ্যে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তারপর অফিসে যাই। আজ সকাল ৮টা থেকে অফিস। তাই বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে না দিয়েই আসতে হলো। এটি আমার জন্য অসুবিধা হয়ে গেল। তবে কর্মঘণ্টা এক ঘণ্টা কমানোর ফলে দ্রুত বাসায় ফেরা যাবে বলে জানান তিনি।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমি প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করতে বের হতাম। নাশতা করে বাসার কিছু কাজ সেরে অফিসে যাই। এখন অফিসের সময় এগিয়ে আনায় ঝামেলা হয়ে গেলো।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৫টায় সকাল হয়। আমরা ৯টার জন্য বসে থাকি। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় অফিস করার জন্য। এখন ৮টায় যদি অফিসে যাই, ভালোই হবে। আগে বাসায় চলে যেতে পারব। ৩টা পর্যন্ত অফিস হওয়ায় বাজার করা বা পারিবারিক অন্য কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে। সবমিলিয়ে এটা ভালো সিদ্ধান্ত।
এর আগে সোমবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরকারি অফিস চলার নির্দেশনা জারি করা হয়।
নদী বন্দর/এসএস