প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন।
আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ি সাক্ষাৎকালে তিনি এই প্রশংসা ব্যক্ত করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং এর তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন দেখে অভিভূত হয়েছেন।
কুমিল্লার একটি গ্রামের উদাহরণ তুলে ধরে টেম্বন বলেন, ‘সেখানে ছোট ছোট বাড়ি দেখে খুশি হয়েছি। যেখানে প্রতিটি পরিবার তাদের বাড়ির চত্বরে গাছ লাগিয়েছে এবং সবজি চাষ করছে। ’ তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানান। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আওতায় দেওয়া বাড়ির মালিক স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এবং তারা তাদের বাড়ির জমি সবজি চাষে ব্যবহার করছেন।
টেম্বন বলেন, ‘কভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন কৃষকদের সাহায্য করার জন্য শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য লোকেরা ধান কাটার কাজে নিজেদের জড়িত করেছে দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছি। ’
প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থেকে এ কাজ করেছে। কাজটি এত সহজ ছিল না এবং এ জন্য সরকারকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশে নারী উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। নারীর অগ্রগতির বাধা দূর করায় খেলাধুলা ও কর্মসংস্থানসহ সকল ক্ষেত্রে নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতার হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
নদী বন্দর/এসএন