‘বহুমুখী’ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফর করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে দুই পক্ষের মধ্যে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতির দরগাহ পরিদর্শন করতে রাজস্থানের আজমীরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের এসব তথ্য তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে নয়াদিল্লি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাগচি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উভয় পক্ষই উচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফর দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং পারস্পরিক আস্থা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
গত মাসে কুশিয়ারা নদীর পানি অন্তবর্তীকালীন বণ্টন নিয়ে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করেছে ভারত ও বাংলাদেশ।
২৫ আগস্ট দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৩৮তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এরমধ্যে সাতটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পানি বণ্টন চুক্তির কাঠামো তৈরির জন্য চিহ্নিত করা হয়।
গত কয়েক বছরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সামগ্রিক কৌশলগত সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।
গত বছরের মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ৫০ বছর পূরর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সূত্র : পিটিআই, এনডিটিভি
নদী বন্দর/এসএইচ