বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেতু দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের দুই বিভাগকে এক করে দিয়েছে। সেতুটি চালু হলে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং বেনাপোল ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরকে সরাসরি সড়ক পথে সংযুক্ত করা যাবে। যার ফলে সড়ক পথে এ দুই অঞ্চলের ১৬টি জেলার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ও যাতায়াতের সুযোগ তৈরি হবে।
পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। ৯টি স্প্যান ও ১০টি পিলার বিশিষ্ট ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণে ব্যায় ধরা হয়েছিল প্রায় ৮৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি চীন এবং ২৪৪ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার যোগান দিয়েছেন। ৪২৯ মিটার ভায়াডাক্টসহ ডাবল লেনের সৈতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। সেতুটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া অংশ ও পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা অংশকে যুক্ত করেছে।
জানা গেছে, ২০০০ সালে পিরোজপুর সরকারি বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঁচা নদীর বেকুটিয়া অংশে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সেতুটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাসুদুর রহমান সুমন জানান, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেকুটিয়া পয়েন্টে এ সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ওই বছর ‘চায়না রেলওয়ে ১৭তম ব্যুরো গ্রæপ কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায় ‘চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ রিকোনিসেন্স ডিজাউন ইনস্টিটিউট’ সেতুটি নির্মাণ করে।
গত ৭ আগস্ট চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর উপস্থিতিতে ঢাকায় চীনের দূতাবাসের ইকনোমি মিনিস্টার বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি হস্তান্তরের দলিলে সই করেন।
নদী বন্দর/এসএইচ