গতকাল থেকে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা না মেলায় নিম্নগামী হয়ে পড়ছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার আগেই শুরু হওয়া ঘন-কুয়াশা অব্যাহত থাকছে পর দিন দুপুর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঠান্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। তীব্র ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন। সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে চরম শীত কষ্টে ভুগছে দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। অনেকেই খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
ভোগডাঙ্গা এলাকার চাষী মকবুল মিয়া জানান, গতকাল থেকে প্রচুর শীত পড়েছে। আমি বয়স্ক মানুষ। আজ ঠান্ডা অনেক বেশি হওয়ায় জমিতে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
পাঁচগাছী এলাকার ঠেলাগাড়ি চালক জয়নাল জানান, আজ সকাল থেকে খুব ঠান্ডা। অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঠেলাগাড়ি চালানো খুবই কষ্টকর। কিন্তু ঠেলাগাড়ি না চালালে ছেলে মেয়েকে খাওয়াব কী?
দিনমজুর জোবেদ আলি জানান, দুদিন থেকে ঠান্ডার কারণে সর্দি জ্বরে ভুগছি। কাজের সন্ধানে বেরিয়েছি। কাজ না জুটলে না খেয়ে থাকতে হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল থেকে মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলমান রয়েছে। এই মাসে আরও একটি শৈত্য প্রবাহ রয়েছে। সেটি হতে পারে তীব্র শৈত্য প্রবাহ।