বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে গত চার দিন ধরে টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একইসাথে পূর্ণিমার প্রভাব থাকায় বিষখালী ও পায়রা নদীর পানিও বেড়েছে। উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বেতাগীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জোয়ারের পানি বেড়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। পৌর শহর এলাকা জোয়ারে প্লাবিত। পৌর শহরে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাজার এলাকা জোয়ারের সময় বিষখালী নদীর পানিতে তলিয়ে যায়।
আবার দু’ঘণ্টা পর পানি নেমে যায়। এছাড়া উপজেলার মোকামিয়া, জলিশা, কাজিরহাট, জোয়ার- করুণা, বদনীখালী, কালিকাবাড়ীর নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। সরিষামুড়ি ইউনিয়নের ৬২ নম্বর কালিকাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়িবাঁধ রাস্তা ভেঙে ডেয়ে বিষখালী নদীর পানি ফসলি মাঠ ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, ১০টি গ্রামে পানি উঠেছে। এছাড়া ওই কালিকাবাড়ী এলাকার বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে পানি উপচে গ্রামে প্রবেশ করছে।
কালিকাবাড়ীর বাসিন্দা অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, বিষখালীর কড়ালগ্রাসে এই সরিষামুড়ি ইউনিয়নের আলিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালিকাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একযুগ আগেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ৬২ নম্বর কালিকাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়িবাঁধ রাস্তা ভেঙে গেছে। যেকোনো সময় ওই বিদ্যালয়টা বিষখালীতে বিলীন হতে পারে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাহাতাব উদ্দিন বলেন, গত তিন দিন ধরে নদীগুলোতে জোয়ারের পানি ক্রমাগত বাড়ছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, ভারি বৃষ্টি, পূর্ণিমা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিষখালী নদীর পানির উচ্চতা গত কয়েক দিন ধরে বেশি রয়েছে। এছাড়া ভেঙে যাওয়া বেঁড়িবাঁধগুলো শিগগিরই মেরামত করা হবে।
নদী বন্দর/এসএইচ