‘একটি চিহ্নিত মহল’ দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এমন ষড়যন্ত্রে শেখ হাসিনা ভয় পান না, তিনি পিছু হটতে জানেন না।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ যৌথ সভা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি চিহ্নিত মহল দেশের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে চায়। দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতো পিছু হটতে জানেন না, তিনি এসবে ভয় পান না। এরা জানে না তিনি হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা হেরে যাবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হেরে যাবে। যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকেন বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না।
পাকিস্তান আমলে দেশের মানুষ ভালো ছিল বলে সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ফখরুল সাহেব বলেছেন, পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিলাম। তাদের মনের কথা বেরিয়ে গেছে। এই জাতীয়তাবাদীরা আবারও বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়।
এসময় শপথ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে পাকিস্তান বানাতে দেবো না। এটাই আমাদের আজকের শপথ, আমরা এই শপথ করছি।
বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীদের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কুমিল্লা ও ঢাকার মিরপুরে হামলা হয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিএনপির নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। সেটা কিন্তু মিডিয়া ছাপতে চায় না।
এসময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বলছি নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশের বাইরে গিয়ে কেউ যদি হামলায় জড়িয়ে পড়েন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এসব করলে সরকারের ওপর এসে দায় পড়বে, এজন্য কিন্তু আমরা ছাড় দেবো না। কোনো খারাপ কাজ আমাদের নেত্রী সহ্য করেন না।
সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেসব মিডিয়া-গণমাধ্যম আছে, তারা বিএনপি নেতাদের কী কাভারেজ দেয়, আর আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের কী কাভারেজ দেয়? এখানে তথ্যমন্ত্রী আছেন, কাভারেজের ক্ষেত্রে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা উচিত।
সভায় বলা হয়, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা করা হবে। সেদিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
নদী বন্দর/এসএইচ