বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিভাগে বেশিরভাগ স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল ছিল বৃষ্টিহীন। কয়েকটি অঞ্চলে যে বৃষ্টি হয়েছে সেই পরিমাণও ছিল কম। এ সময়ে সারাদেশের ৪৩টি বৃষ্টি পরিমাপ অঞ্চলের মধ্যে ১০টি অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে।
টাঙ্গাইল, নিকলি, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুর, সিলেট, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গায়- এ ১০টি অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বগুড়ায়।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় রোদ ছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই মেঘ এসে ঢেকে ফেলে ঢাকার আকাশ। কোথাও কোথাও শুরু হয় থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি। এতে ভ্যাপসা গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মেলে নগরবাসীর।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু/এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী দুদিন পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও জানান ওমর ফারুক।
এদিকে বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সৈয়দপুরে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএইচ