গত ৬ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার পদত্যাগ করলেন দেশটির স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। শুক্রবার তিনি পদত্যাগের পেছনে ক্যাপটিল ভবনে হামলার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে মার্কিন পার্লামেন্টে নজিরবিহীন হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির আইন প্রণেতারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্ট ভবনে এক যৌথ অধিবেশনে বসেছিলেন। সেসময় ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ওই ভবনে ঢুকে পড়েন। সেখানে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালানো হয়। এতে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়।
ওই ঘটনার পরপরই হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের পদত্যাগের খবর আসতে থাকে। আগামী ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের শপথ নেয়ার কথা। তার আগেই ট্রাম্প প্রশাসনে একের পর এক পদত্যাগের খবর সামনে আসছে।
ক্যাপিটল ভবনে হামলার পর পরই হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউস, সোশ্যাল সেক্রেটারি রিকি নিকেটা ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ স্টেফানি গ্রিশ্যাম পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এক বিবৃতিতে নিজের পদত্যাগের বিষয়ে সারাহ ম্যাথিউস জানান, ‘ট্রাম্প প্রশাসনে সেবা দিতে পেরে এবং যে নীতিগুলো আমরা গ্রহণ করেছি তাতে আমি গর্বিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি যা দেখেছি তাতে আমি ভীষণভাবে বিরক্ত। আমি আমার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি যা এই মুহূর্ত থেকে কার্যকর হবে। আমাদের জাতির একটি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রয়োজন।’
মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ গ্রিশ্যাম এক টুইট পোস্টে বলেন, ‘হোয়াইট হাউসে কাজ করে দেশকে সেবা দিতে পারাটা গর্বের ব্যাপার। মেলানিয়া ট্রাম্পের মিশনে বিভিন্ন স্থানে শিশুদের সহযোগিতা করতে পেরে ও এই প্রশাসনের অনেক অর্জনের অংশ হতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি।’
স্টেফানি গ্রিশ্যাম ও রিকি নিকেটা ট্রাম্প প্রশাসনে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করা কর্মকর্তাদের অন্যতম। গ্রিশ্যাম এর আগে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসনের আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও পদত্যাগের বিষয়ে বিবেচনা করছেন বলেও গুঞ্জন উঠেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক রবার্ট ওব্রেইন, উপ জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক ম্যাট পটিংগার ও ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ক্রিস লিডেল।
নদী বন্দর / জিকে