1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মানিকগঞ্জ অসময়ে নদী ভাঙন, দিশেহারা মানুষ - Nadibandar.com
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হাদির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে যা জানা গেল ভোটের ওপর নির্ভর করছে আপনার আমার সবার ভবিষ্যৎ: প্রধান উপদেষ্টা ২৫ কোটি ২০ লাখ, আইপিএলের সবচেয়ে দামি বিদেশি খেলোয়ার গ্রিন ফ্যাসিস্ট-ডেভিলদের অপচেষ্টা সফল হবে না: প্রধান উপদেষ্টা ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা: শ্যুটার ফয়সালের সহযোগী গ্রেপ্তার পতাকা হাতে ৫৪ বাংলাদেশি প্যারাট্রুপারের বিশ্বরেকর্ড স্বাধীনতা বিরোধীদের চেষ্টা নস্যাৎ করে দেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিজয় দিব‌সের শুভেচ্ছা জানা‌লো যুক্তরাষ্ট্র-ভারত-চীন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য খুলে দেওয়া হলো স্মৃতিসৌধ
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৬১ বার পঠিত

অসময়ে মানিকগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী, ইছামতি বড় বড় নদী ছাড়াও  অভ্যন্তরীন শান্ত নদীগুলিও ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত কয়েক দিনের নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের কুশুন্ডা এলাকার লোকজন। 

হঠাৎ নদীতে পানি বাড়ায় শান্ত নদীর পানি উত্তর পাড়ে আছড়ে পড়ছে। ফলে বাড়ি ঘরসহ অসংখ্য কৃষি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত নদী খনন ও অসময়ে নদীতে পানি বাড়ায় এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। 

গত কয়েকদিনের মধ্যে বসতবাড়িসহ প্রচুর কৃষিজমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়ে লোকজন এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। নদী খননের কাজ শেষ না করার কারণে নদীর দক্ষিণ পাড়ে বিশাল চর জেগে উঠেছে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত দক্ষিণ পাড়ের চর অপসারণ করে নদীর প্রবাহ ঠিক করার। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে গ্রামটি কয়েকদিনের মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশংক্ষা করছেন তারা। 

স্থানীয় বাবু মাদবর ও পরান মিয়া বলেন, অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এলাকাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেল। আরেক ভুক্তভোগী চাঁদ মিয়া আল-চীশতি বলেন, প্রায় দুইশত বছরের ঐতিহ্য আমাদের দরবার শরীফসহ অনেক অংশ নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। দক্ষিণপারের চরটি খনন করলে আজ এ অবস্থা হতো না। বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মো. আউয়াল খান বলেন, নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এই নদীটি ভাঙনকবলিত এলাকা নয়। কালীগঙ্গা ও পুরাতন ধলেশ্বরী নদীটি খনন করা হয়। নদী খননের কাজ উত্তরাংশ শেষ না হওয়ার কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে দক্ষিন পাড়ে বিশাল চর জেগে উঠেছে। এতে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ বর্ষা মৌসুমে জেলায় প্রায় তিন শতাধিক বাড়িঘরসহ অসংখ্য জমি নদী ভাঙনের কবলে পরে। 

তিনি আরো বলেন, চাহিদাপত্র অনুযায়ী ভাঙন রোধে শতকোটি টাকা প্রয়োজন। এ বর্ষা মৌসুমে ভাঙনরোধে  প্রায় বিশ কোটি টাকা ব্যায় হয়েছে। বর্ষা পরবর্তী সময়ে অন্যান্য কাজ হাতে নেওয়া হবে।

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com