উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রাও কমে এসেছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধানও বেড়েছে। রবিবার (১৩ নভেম্বর) প্রান্তিক এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও কাঙ্ক্ষিত তেজ পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে পঞ্চগড় শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। উত্তরের ঠাণ্ডা বাতাস আর রাতে ঝরছে কুয়াশা। কখনো হালকা আবার কখনো ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট। সকালে দেরিতে দেখা মিলছে সূর্যের। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত গরম কাপড় পরে বাইরে বের হতে হচ্ছে মানুষজনকে। কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শহরের তুলনায় গ্রামে শীতের তীব্রতা তুলনামূলক বেশি।
পঞ্চগড়ে বরাবরই শীতের তীব্রতা একটু বেশিই থাকে। এবারো শীত এসেছে হেমন্তেই। দিন যতই সামনে এগুচ্ছে ততই শীতে পরিমাণও বাড়ছে। তবে এই শীতকে উপভোগের বলে মনে করেন অনেকে। শীত এলেই পঞ্চগড়ে বাড়ে প্রকৃতিপ্রেমিদের আনাগোনা। শীত উপভোগ করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন এখানে।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘প্রকৃতিকে উপভোগ করার মধ্যেও অন্যরকম একটা আনন্দ রয়েছে। তাই শীত উপভোগ করার জন্য পঞ্চগড়ে এসেছি। সকালে কুয়াশাঢাকা শীতে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। ‘
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, ‘এখন দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বেড়েছে। দিনে তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠে যাচ্ছে। আবার মধ্যরাত ও সকালে তা নেমে আসছে ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সামনে তীব্রতা আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি। ‘
নদী বন্দর/এসএইচ