পদ্মা সেতু নিয়ে অপপ্রচার চালানোর কারণে মির্জা ফখরুলের ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ফরিদপুরে সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লজ্জা শরম না থাকায় চুপিসারে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী তো সবার জন্যই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন।
আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক মতবিনিময়সভায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের আসলে লজ্জা নেই। যদি লজ্জা থাকত পদ্মা সেতুতে ওঠার আগেই তাদের বলা উচিত ছিল- পদ্মা সেতু নিয়ে আমরা যে অপপ্রচার করেছি তার জন্য জাতির কাছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠা প্রয়োজন ছিল। লজ্জা শরম নেই সে জন্য চুপিসারে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে এসেছেন।
ফখরুল সাহেব বলেছেন বর্তমান সরকার মেগা প্রকল্প থেকে বিধবা ভাতা পর্যন্ত সব লুটপাট করে খেয়ে নিচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনারা পরপর পাঁচবার বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। চারবার এককভাবে, আরেকবার যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। যারা চোর, বিশ্ব চোর তারা সবকিছুতেই চুরির গন্ধ খোঁজে। নিজেরা বিশ্ব চোর তো সেজন্য সবকিছুতে চুরির গন্ধ খোঁজে।
তিনি বলেন, যখন তারা ক্ষমতায় ছিল, তখন হাওয়া ভবন বানিয়ে সব ব্যবসার মধ্যে চাঁদাবাজি করেছে। মির্জা ফখরুল একটি কথা বলেছেন এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মির্জা ফখরুল সাহেব কয়েকদিন আগে বলেছেন সরকারের পতন হলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সরকার হবে। অর্থাৎ হাওয়া ভবনের বিশ্ব চোর আবার বাংলাদেশে আসবে এবং উনার নেতৃত্বে ওনারা জাতীয় সরকার গঠন করতে চায়। দেশের মানুষ এটা কখনো মেনে নেবে না।
জিয়ার কবর সারানো নিয়ে মায়ের কান্না নামের একটি সংগঠনের করা দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি মায়ের কান্নার দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি। যেভাবে জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনাবাহিনীর অফিসার, জয়ানদের বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন, আজকে সারাদেশে তাদের পরিবারের সদস্যরা ঢুকরে কাঁদছে। তাদের কান্নার আওয়াজও করার সুযোগ করে দেওয়া হয়নি অতীতে। তাদের দাবি যৌক্তিক দাবি। এ দাবির প্রতি আমার সহমর্মিতা আছে।
নদী বন্দর/এসএইচ